স্মরণ কর ‘আদ জাতির ভ্রাতার (হূদ) কথা। সে তার আহকাফবাসী সম্প্রদায়কে সতর্ক করেছিল। (এ ধরনের) সতর্ককারীরা তার পূর্বেও এসেছিল আর তার পরেও এসেছিল (যারা বলেছিল) যে, ‘তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ‘ইবাদাত করো না। আমি তোমাদের উপর এক ভয়াবহ দিনের ‘আযাবের আশঙ্কা করছি।’
লোকেরা বলেছিল- ‘তুমি কি আমাদেরকে আমাদের উপাস্যগুলো হতে সরিয়ে নেয়ার জন্য আমাদের কাছে এসেছ। কাজেই তুমি আমাদেরকে যে শাস্তির ভয় দেখাচ্ছ তা নিয়ে এসো আমাদের কাছে যদি তুমি সত্যবাদী হও।’
সে বলল (‘আযাব কখন আসবে না আসবে) ‘সে বিষয়ের জ্ঞান তো আল্লাহর নিকট আছে। আমি যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছি তাই শুধু তোমাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। কিন্তু আমি দেখছি তোমরা এমন এক জাতি যারা মূর্খের আচরণ করছে।
অতঃপর তারা যখন তাদের উপত্যকার দিকে মেঘ আসতে দেখল তখন তারা বলল- ‘এ তো মেঘ, আমাদেরকে বৃষ্টি দিবে।’ না, তা হল সেই জিনিস তোমরা যা তাড়াতাড়ি নিয়ে আসতে চেয়েছিলে। এ হল ঝড়, যাতে আছে ভয়াবহ ‘আযাব।
ওটা তার প্রতিপালকের নির্দেশে সবকিছু ধ্বংস করে দেবে। অবস্থা এই দাঁড়াল যে, তাদের (ধ্বংসপ্রাপ্ত) বসতিগুলো ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছিল না। অপরাধী জাতিকে আমি এভাবেই প্রতিফল দিয়ে থাকি।
তাদেরকে আমি যতটা সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম, তোমাদেরকে (হে কুরায়শ!) তেমন সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করিনি আর তাদেরকে দিয়েছিলাম কান, চোখ ও হৃদয়। কিন্তু তাদের কান, তাদের চোখ আর তাদের হৃদয় তাদের কোন উপকারে আসেনি যেহেতু তারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করত। তারা যা নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রূপ করত তা-ই তাদেরকে ঘিরে ফেলল।
আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে আল্লাহ ব্যতিরেকে যাদেরকে তারা ইলাহরূপে গ্রহণ করেছে তারা তাদেরকে সাহায্য করল না কেন? বরং তারা (অর্থাৎ কল্পিত ইলাহ) তাদের থেকে হারিয়ে গেল। আসলে তা ছিল তাদের মিথ্যাচার আর মনগড়া উদ্ভাবন।
স্মরণ কর, যখন জ্বিনদের একটি দলকে তোমার প্রতি ফিরিয়ে দিয়েছিলাম যারা কুরআন শুনছিল। তারা যখন সে স্থানে উপস্থিত হল, তখন তারা পরস্পরে বলল- চুপ করে শুন। পড়া যখন শেষ হল তখন তারা তাদের সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে গেল সতর্ককারীরূপে।
(ফিরে গিয়ে) তারা বলল- হে আমাদের সম্প্রদায়! আমরা একটি কিতাব (এর পাঠ) শুনেছি যা মূসার পরে অবতীর্ণ হয়েছে, তা পূর্বেকার কিতাবগুলোর সত্যতা প্রতিপন্ন করে, সত্যের দিকে আর সঠিক পথের দিকে পরিচালিত করে।