এবং নিশ্চয়ই আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছি এবং তার পরে ক্রমান্বয়ে রসূলদেরকে প্রেরণ করেছি, মারইয়াম পুত্র ঈসাকে সুস্পষ্ট প্রমাণ দিয়েছি এবং ‘পবিত্র আত্মা’যোগে (জিবরাঈলের মাধ্যমে) তাকে শক্তিশালী করেছি, অতঃপর যখনই কোন রসূল এমন কিছু এনেছে যা তোমাদের মনঃপুত নয়, তখনই তোমরা অহংকার করেছ এবং কিছু সংখ্যককে অস্বীকার করেছ এবং কিছু সংখ্যককে হত্যা করেছ।
তাদের কাছে যা আছে, তার সমর্থক কিতাব যখন আল্লাহর নিকট থেকে আসল, যদিও পূর্বে কাফিরদের বিরুদ্ধে তারা এর সাহায্যে বিজয় প্রার্থনা করত, আর সেটাকে তারা চিনতেও পারল, তবুও যখন তা তাদের নিকট আসল, তখন তারা তা অবিশ্বাস করল; সুতরাং অবিশ্বাসকারীদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত।
তা কতই না নিকৃষ্ট যার বিনিময়ে তারা নিজেদের আত্মাকে বিক্রি করেছে, তা এই যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, জিদের বশে তারা তা প্রত্যাখ্যান করত শুধু এজন্য যে, আল্লাহ তাঁর বান্দাহদের মধ্য হতে যাকে ইচ্ছে অনুগ্রহ করেন, অতএব তারা ক্রোধের উপর ক্রোধের পাত্র হল এবং কাফিরদের জন্যই লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি রয়েছে।
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তাতে ঈমান আন’; তারা বলে, ‘আমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে আমরা বিশ্বাস করি’। অথচ পরবর্তী কিতাবকে (কুরআনকে) তারা প্রত্যাখ্যান করে, যদিও তা সত্য এবং যা তাদের নিকট আছে তার সমর্থক। বল, ‘যদি তোমরা বিশ্বাসী ছিলে তবে কেন তোমরা পূর্বে নাবীদেরকে হত্যা করেছিলে’?
স্মরণ কর, যখন তোমাদের শপথ নিয়েছিলাম এবং তূর পর্বতকে তোমাদের ঊর্ধ্বে তুলেছিলাম এবং বলেছিলাম, ‘যা দিলাম তা দৃঢ়রূপে ধারণ কর এবং শ্রবণ কর’। তারা বলেছিল, আমরা শুনলাম ও অমান্য করলাম। কুফুরীর কারণে তাদের অন্তরে গো-বৎস-প্রীতি শিকড় গেড়ে বসেছিল। বল, ‘যদি তোমরা বিশ্বাসী হও, তবে তোমাদের বিশ্বাস যার নির্দেশ দেয়, তা কতই না নিকৃষ্ট’!