অথবা এমন কিছু যা তোমাদের ধারণায় (জীবিত হওয়া) খুবই কঠিন (তবুও তোমাদেরকে উঠানো হবে)।’ তারা বলবে, ‘কে আছে এমন যে আমাদেরকে পুনরায় জীবনে ফিরিয়ে আনবে?’ বল, ‘তিনিই যিনি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন।’ তখন তারা (ঠাট্টার ছলে) তোমার সামনে মাথা নাড়বে আর বলবে, ‘সেটা কখন ঘটবে?’ বল, ‘হতে পারে সেটা শীঘ্রই ঘটবে।’
তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে খুব ভাল ক’রেই জানেন। তিনি ইচ্ছে করলে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করবেন, আর ইচ্ছে করলে তোমাদেরকে শাস্তি দেবেন; আমি তোমাকে (হে নাবী!) তাদের কাজকর্মের জন্য দায়িত্বশীল করে পাঠাইনি।
তারা যাদেরকে ডাকে তারা নিজেরাই তো তাদের প্রতিপালকের নিকট পৌঁছার পথ অনুসন্ধান করে যে, কে তাঁর অধিক নিকটবর্তী হতে পারবে, আর তাঁর দয়া প্রত্যাশা করে এবং তাঁর শাস্তিকে ভয় করে। তোমার প্রতিপালকের শাস্তি তো ভয় করার মতই।
আমি নিদর্শন প্রেরণ করা হতে এজন্য বিরত থাকি যে, পূর্বের লোকেরা তা মিথ্যা মনে ক’রে প্রত্যাখ্যান করেছিল। আমি সামূদ জাতির নিকট উষ্ট্রী পাঠিয়েছিলাম এক প্রত্যক্ষ নিদর্শন হিসেবে কিন্তু তারা তার প্রতি যুলম করল; ভয় প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই কেবল আমি নিদর্শন পাঠিয়ে থাকি।
স্মরণ কর, আমি তোমাকে বলেছিলাম যে, তোমার রবব মানুষদেরকে ঘিরে রেখেছেন। আমি তোমাকে (মি’রাজের মাধ্যমে) যে দৃশ্য দেখিয়েছি তা এবং কুরআনে উল্লেখিত অভিশপ্ত (জাক্কুম) গাছটিও মানুষদেরকে পরীক্ষা করার জন্য (যে কারা তা বিশ্বাস ক’রে নেককার হয় আর কারা তা অবিশ্বাস ক’রে পাপী হয়)। আমি তাদেরকে ভয় দেখাই ও সাবধান করি, কিন্তু তাতে তাদের চরম অবাধ্যতাই বৃদ্ধি পায়।