সুলাইমান বলল- ‘তার সিংহাসনের আকৃতি বদলে দাও, অতঃপর আমরা দেখি, সে (তার নিজের পৌঁছার পূর্বেই আলৌকিকভাবে তার সিংহাসন সুলায়মানের দরবারে রক্ষিত দেখে সত্য) পথের দিশা পায়, না যারা পথের দিশা পায় না সে তাদের অন্তর্ভুক্ত।
যখন সে নারী আসল তখন তাকে বলা হল- ‘এটা কি তোমার সিংহাসন?’ সে বলল, ‘এটা যেন সেটাই, আমাদেরকে এর আগেই (আপনার সম্পর্কে) জ্ঞান দান করা হয়েছে আর আমরা আত্মসমর্পণ করেছি।
তাকে বলা হল- ‘প্রাসাদে প্রবেশ কর।’ যখন সে তা দেখল, সে ওটাকে পানির হ্রদ মনে করল এবং সে তার পায়ের গোছা খুলে ফেলল। সুলাইমান বলল- ‘এটা তো স্বচ্ছ কাঁচমন্ডিত প্রাসাদ। সে নারী বলল- হে আমার প্রতিপালক! আমি অবশ্যই নিজের প্রতি যুলম করেছি আর আমি সুলাইমানের সঙ্গে বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ করছি।’
সালিহ্ বলল- ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা কল্যাণের পূর্বে দ্রুত অকল্যাণ কামনা করছ কেন? তোমরা কেন আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর না যাতে তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হও?’
তারা বলল- আমরা তোমাকে আর তোমার সঙ্গে যারা আছে তাদেরকে অকল্যাণের কারণ ব’লে মনে করি।’ সে বলল- ‘তোমাদের অকল্যাণ আল্লাহর নিকট, বরং তোমরা এমন এক সম্প্রদায় যাদেরকে পরীক্ষা করা হচ্ছে।’
তারা বলল- ‘তোমরা আল্লাহর নামে শপথ কর যে, তোমরা রাত্রিযোগে তাকে আর তার পরিবারবর্গকে অবশ্য অবশ্যই আক্রমণ করবে, অতঃপর আমরা তার অভিভাবককে অবশ্য অবশ্যই বলব, আমরা তার পরিবারবর্গের হত্যাকান্ড প্রত্যক্ষ করিনি। আমরা অবশ্যই সত্যবাদী।’