স্মরণ কর, আমি যখন পাহাড়কে বানী ইসরাঈলদের উপর তুলে ধরলাম তা যেন একটা সামিয়ানা। তারা ভাবল, ওটা তাদের উপর বুঝি পতিত হবে। (এমত অবস্থায় তাদেরকে বললাম) ‘তোমাদেরকে যা দিলাম তা শক্তভাবে ধারণ কর আর তাতে যা আছে তা মনে রেখ, যাতে তোমরা তাক্বওয়া লাভ করতে পার’।
স্মরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক আদম সন্তানদের পৃষ্ঠ হতে তাদের বংশধরদের বের করলেন আর তাদেরকেই সাক্ষী বানিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমি কি তোমাদের প্রতিপালক নই?’ তারা বলল, ‘হ্যাঁ; এ ব্যাপারে আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি।’ (এটা এজন্য করা হয়েছিল) যাতে তোমরা ক্বিয়ামাতের দিন না বল যে, ‘এ সম্পর্কে আমরা একেবারেই বে-খবর ছিলাম’।
অথবা তোমরা এ কথা না বল যে, ‘পূর্বে আমাদের পিতৃ-পুরুষরাই শিরক করেছে আর তাদের পরে আমরা তাদেরই সন্তানাদি (যা করতে দেখেছি তাই করছি) তাহলে ভ্রান্ত পথের অনুসারীরা যা করেছে তার জন্য কি আপনি আমাদেরকে ধ্বংস করবেন?’
তাদেরকে ঐ লোকের সংবাদ পড়ে শোনাও যাকে আমি আমার নিদর্শনসমূহ প্রদান করেছিলাম। কিন্তু সে সেগুলোকে এড়িয়ে যায়। অতঃপর শয়ত্বান তাকে অনুসরণ করে, ফলে সে পথভ্রষ্টদের দলে শামিল হয়ে যায়।
আমি ইচ্ছে করলে আমার নিদর্শনের মাধ্যমে তাকে অবশ্যই উচ্চতর মর্যাদা দিতাম। কিন্তু সে দুনিয়ার প্রতিই ঝুঁকে পড়ল আর তার প্রবৃত্তির অনুসরণ করল। তাই তার দৃষ্টান্ত হল কুকুরের দৃষ্টান্তের মত। যদি তুমি তার উপর বোঝা চাপাও তাহলে জিভ বের করে হাঁপাতে থাকে এবং তাকে ছেড়ে দিলেও জিভ বের করে হাঁপাতে থাকে। এটাই হল ঐ সম্প্রদায়ের উদাহরণ যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যে মনে করে অমান্য করে। তুমি এ কাহিনী শুনিয়ে দাও যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।
আমি বহু সংখ্যক জ্বীন আর মানুষকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি, তাদের হৃদয় আছে কিন্তু তা দিয়ে উপলব্ধি করে না, তাদের চোখ আছে কিন্তু তা দিয়ে দেখে না, তাদের কান আছে কিন্তু তা দিয়ে শোনে না, তারা জন্তু-জানোয়ারের মত, বরং তার চেয়েও পথভ্রষ্ট, তারা একেবারে বে-খবর।
সুন্দর যত নাম সবই আল্লাহর জন্য। কাজেই তাঁকে ডাক ঐ সব নামের মাধ্যমে। যারা তার নামের মধ্যে বিকৃতি ঘটায় তাদেরকে পরিত্যাগ কর। তারা যা করছে তার ফল তারা শীঘ্র পাবে।