‘যারা তাদের দ্বীনকে খেলা-তামাশা বানিয়ে নিয়েছিল আর দুনিয়ার জীবন যাদেরকে প্রতারিত করেছিল।’ কাজেই আজকের দিনে তাদেরকে আমি ভুলে যাব যেভাবে তারা এ দিনের সাক্ষাৎকে ভুলে গিয়েছিল এবং আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে চলেছিল।
আমি অবশ্যই তাদের কাছে এক কিতাব এনে দিয়েছিলাম যা ছিল পূর্ণ জ্ঞানের ভিত্তিতে বিশদভাবে বিবৃত যা ছিল বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য সঠিক পথের দিশারী ও রহমত স্বরূপ।
তারা কি তার পরিণামের অপেক্ষা করছে (কাফিরদেরকে যে পরিণামের ব্যাপারে এ কিতাব খবর দিয়েছে) যখন তার (খবর দেয়া) পরিণাম এসে যাবে তখন পূর্বে যারা এর কথা ভুলে গিয়েছিল তারা বলবে, আমাদের প্রতিপালকের রসূলগণ তো প্রকৃত সত্য নিয়েই এসেছিল, এখন কোন সুপারিশকারী আছে কি যারা আমাদের জন্য সুপারিশ করবে অথবা আমাদেরকে (পৃথিবীতে) ফিরে যেতে দেয়া হবে কি যাতে আমরা যে ‘আমাল করছিলাম তত্থেকে ভিন্নতর ‘আমাল করি? তারা নিজেদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেছে, আর তারা যে মিথ্যে রচনা করত তাও তাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে।
তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ যিনি ছয় দিনে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমুন্নত হয়েছেন। দিনকে তিনি রাতের পর্দা দিয়ে ঢেকে দেন, তারা একে অন্যকে দ্রুতগতিতে অনুসরণ করে এবং সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি তাঁরই আজ্ঞাবহ। জেনে রেখ, সৃষ্টি তাঁর, হুকুমও (চলবে) তাঁর, বরকতময় আল্লাহ বিশ্বজগতের প্রতিপালক।
শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপিত হওয়ার পর পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না, আর তাঁকে ভয়-ভীতি ও আশা-ভরসা নিয়ে ডাকতে থাক, আল্লাহর দয়া তো (সব সময়) তাদের নিকটে আছে যারা সৎ কাজ করে।
তিনি তাঁর রহমতের পূর্বে সুসংবাদের ঘোষক হিসেবে বায়ু প্রেরণ করেন, অতঃপর যখন তা মেঘের ভারী বোঝা বহন করে, তখন আমি তাকে মৃত ভূখন্ডের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাই, যাত্থেকে আমি পানি বর্ষণ করি, অতঃপর তাত্থেকে আমি সর্বপ্রকার ফল উৎপন্ন করি। এভাবেই আমি মৃতকে জীবিত করি যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।
উৎকৃষ্ট ভূমি তার প্রতিপালকের নির্দেশে বৃক্ষলতা উৎপাদন করে, আর নিকৃষ্ট যমীন থেকে কঠিন পরিশ্রম না করলে কিছুই উৎপন্ন হয় না। এভাবেই আমি আয়াতগুলো বারবার বিবৃত করি কৃতজ্ঞ সম্প্রদায়ের জন্য।
আমি নূহকে তার সম্প্রদায়ের নিকট পাঠিয়েছিলাম। সে বলেছিল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ নাই।’ (তোমরা আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করলে) মহাদিনে আমি তোমাদের জন্য শাস্তির আশঙ্কা করি।