তোমাদের চতুষ্পার্শ্বে কতক বেদুঈন হল মুনাফিক, আর মাদীনাবাসীদের কেউ কেউ মুনাফিকীতে অনঢ়, তুমি তাদেরকে চেন না, আমি তাদেরকে চিনি, আমি তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি দেব, (ক্ষুধা বা নিহত হওয়া এবং কবরের শাস্তি) অতঃপর তাদেরকে মহা শাস্তির পানে ফিরিয়ে আনা হবে।
আর অন্য কতক লোক তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে, তারা একটি সৎ কাজের সাথে আরেকটি মন্দ কাজকে মিশ্রিত করেছে, আশা করা যায় আল্লাহ তাদের তাওবা কবুল করবেন, অবশ্যই আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, অতীব দয়ালু।
তাদের সম্পদ থেকে সদাকাহ গ্রহণ করবে যাতে তা দিয়ে তাদেরকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করতে পার। তুমি তাদের জন্য দু‘আ করবে, বস্তুতঃ তোমার দু‘আ তাদের জন্য স্বস্তিদায়ক, আর আল্লাহ সবকিছু শোনেন সব কিছু জানেন।
তারা কি জানে না যে, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের (অনুশোচনাপূর্ণ) ক্ষমাপ্রার্থনা কবুল করে থাকেন আর সদাকাহ গ্রহণ করেন। আর আল্লাহই তো তাওবাহ কবূলকারী, অতি দয়ালু।
বল, তোমরা আমল করতে থাক। অচিরেই আল্লাহ তোমাদের আমালের প্রতি লক্ষ্য রাখবেন এবং তাঁর রসূল ও মু’মিনগণও (লক্ষ্য রাখবে), আর অচিরেই তোমাদেরকে দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতার দিকে ফিরিয়ে আনা হবে, আর তিনি তখন তোমরা যে আমল করছিলে তা তোমাদের জানিয়ে দিবেন।
আর যারা মাসজিদ তৈরী করেছে ক্ষতিসাধন, কুফুরী আর মু’মিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে, আর যে ব্যক্তি ইতোপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে তার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের নিমিত্তে, তারা অবশ্য অবশ্যই শপথ করবে যে, আমাদের উদ্দেশ্য সৎ ব্যতীত নয়। আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।
তুমি ওর ভিতরে কক্ষনো দাঁড়াবে না। প্রথম দিন থেকেই যে মাসজিদের ভিত্তি তাকওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত, তোমার দাঁড়ানোর জন্য সেটাই অধিক উপযুক্ত, সেখানে এমন সব লোক আছে যারা পবিত্রতা লাভ করতে ভালবাসে, আর আল্লাহ পবিত্রতা লাভকারীদের ভালবাসেন।
কে উত্তম যে তার ভিত্তি আল্লাহভীরুতা ও আল্লাহর সন্তুষ্টির উপর স্থাপন করে সে, না ঐ ব্যক্তি যে তার ভিত্তি স্থাপন করে পতনোম্মুখ একটি ধসের কিনারায় যা তাকে নিয়ে জাহান্নামের আগুনে ধসে পড়বে? আল্লাহ যালিমদের সঠিক পথে পরিচালিত করেন না।