রাজা মহিলাদের জিজ্ঞেস করল- ‘তোমরা যখন ইউসুফকে ভুলাতে চেষ্টা করেছিলে তখন তোমাদের কী হয়েছিল?’ তারা বলল, ‘আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুন! আমরা তার মাঝে কোন দোষ দেখতে পাইনি।’ আযীযের স্ত্রী বলল, ‘এখন সত্য প্রকাশিত হয়ে পড়েছে, আমিই তাকে ভুলাতে চেষ্টা করেছিলাম, নিশ্চয়ই সে ছিল সত্যবাদী।’
(ইউসুফ বলল) ‘আমার উদ্দেশ্য এই যে, সে (অর্থাৎ আযীয) যেন জানতে পারে যে, তার অনুপস্থিতিতে আমি তার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করিনি আর আল্লাহ বিশ্বাসঘাতকদের কৌশলকে অবশ্যই সফল হতে দেন না।’
(সে বলল), ‘আমি নিজেকে দোষমুক্ত মনে করি না, নফস্ তো মন্দ কাজে প্ররোচিত করতেই থাকে, আমার প্রতিপালক যার প্রতি দয়া করেন সে ছাড়া। আমার প্রতিপালক বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।’
রাজা বললেন, ‘তাকে আমার কাছে নিয়ে এসো, আমি তাকে আমার জন্য বিশেষভাবে নির্দিষ্ট করে নেব।’ অতঃপর সে (ইউসুফ) যখন তার সাথে কথা বলল, তখন রাজা বলল, ‘আজ তুমি আমাদের কাছে খুবই মর্যাদাশীল ও বিশ্বস্ত হিসেবে পরিগণিত।’
এভাবে আমি ইউসুফকে সে দেশে প্রতিষ্ঠিত করলাম। দেশের যেখানে ইচ্ছে সে নিজের স্থান করে নিতে পারত, আমি যাকে চাই আমার রহমাত দিয়ে ধন্য করি, আমি সৎকর্মশীলদের কর্মফল কক্ষনো বিনষ্ট করি না।
সে যখন তাদের দ্রব্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দিল তখন সে বলল, ‘তোমরা তোমাদের সৎ ভাইকে আমার কাছে নিয়ে আসবে, তোমরা কি দেখছ না, আমি কীভাবে পাত্র ভরে দেই, আর আমি উত্তম অতিথি সেবক।