কাজেই তুমি ও তোমার সাথে যারা (আল্লাহর দিকে) তাওবা করেছে সুদৃঢ় হয়ে থাক আল্লাহ যেভাবে তোমাকে আদেশ দিয়েছেন, আর সীমালঙ্ঘন করো না। তোমরা যা কিছু কর তিনি তা ভালভাবেই দেখেন।
তোমরা যালিমদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো না, তাহলে আগুন তোমাদেরকে স্পর্শ করবে, আর তখন আল্লাহ ছাড়া কেউ তোমাদের অভিভাবক থাকবে না, অত:পর তোমাদেরকে সাহায্যও করা হবে না।
তুমি নামায প্রতিষ্ঠা কর দিনের দু’ প্রান্ত সময়ে আর কিছুটা রাত অতিবাহিত হওয়ার পর, পূণ্যরাজি অবশ্যই পাপরাশিকে দূর করে দেয়, এটা তাদের জন্য উপদেশ যারা উপদেশ গ্রহণ করে।
তাহলে তোমাদের পূর্ব যুগের লোকদের মধ্যে এমন সৎকর্মশীল কেন হয়নি যারা যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করা হতে বাধা দিত? এমন লোক কমই ছিল আর তাদেরকে আমি বাঁচিয়ে নিয়েছিলাম। যালিমরা তো তাদেরকে দেয়া সামগ্রীর সুখ স্বাচ্ছন্দ্যেই লিপ্ত থাকতো আর তারা ছিল অপরাধী।
তবে তোমার প্রতিপালক যাদের প্রতি দয়া করেন তারা (মতবিরোধ করবে) না। এই উদ্দেশ্যেই তিনি তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, আর তোমার প্রতিপালকের এ বাণী পূর্ণ হবেই যে, আমি জাহান্নামকে জ্বিন আর মানুষ দিয়ে অবশ্য অবশ্যই ভরে দেব।
রসূলদের যে সব সংবাদসমূহ আমি তোমার কাছে বর্ণনা করলাম, এর দ্বারা আমি তোমার দিলকে মযবুত করছি, এতে তুমি প্রকৃত সত্যের জ্ঞান লাভ করবে আর মু’মিনদের জন্য এটা উপদেশ ও স্মারক।